ইসলামাবাদ: ভারতীয় বায়ুসেনার ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ পাইলটদের বিরুদ্ধে বালাকোটে বোমা ফেলে ১৯টি গাছ নষ্ট করার অভিযোগে এফআইআর পাকিস্তানের। দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদপত্রের খবর, খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোট এলাকায় বোমাবর্ষণ, গাছ ধ্বংস করার অভিযোগে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে পাকিস্তানের বনমন্ত্রক। ভারতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ বালাকোটে তাদের ট্রেনিং ক্যাম্পে বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। সেটি পাকিস্তানে জইশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প। পাক সংবাদপত্রের রিপোর্ট, ভারতের যুদ্ধবিমানগুলি ‘তড়িঘড়ি বোমা ফেলে’ চলে যাওয়ার পর ১৯টি গাছের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা বিস্তারিত বলা হয়েছে এফআইআরে।
বায়ুসেনার অভিযানের পর নয়াদিল্লিতে ভারতের বিদেশসচিব বিজয় গোখলে বিবৃতি দেন, আজ ভোররাতে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে ভারত বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় ট্রেনিং ক্যাম্পে আঘাত হেনেছে। এই অপারেশনে প্রচুর সংখ্যায় জইশ সন্ত্রাসবাদী, প্রশিক্ষক, সিনিয়র কমান্ডার ও আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণরত জেহাদিবাহিনী খতম হয়েছে। জইশ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের শ্যালক মৌলানা ইউসুফ আজহার বালাকোটের শিবিরের নেতৃত্বে ছিল বলেও জানান গোখলে।
পাল্টা পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর ট্যুইট করেন, কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত লাগেনি, কোনও হতাহতও হয়নি।
‘দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর খবর, ভারতের বিরুদ্ধে ইকো-টেররিজমের অভিযোগেও রাষ্ট্রপুঞ্জে নালিশ জানানোর প্ল্যান করছে পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে বালাকোটের কাছে জঙ্গল, পাহাড়ে ঘেরা জাব্বা টপেও বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তানের জলবায়ু বদল সংক্রান্ত মন্ত্রী মালিক আমিন আসলাম আগেই বলেছেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বোমা ফেলেছে, পাক সরকার তার ফলে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি, বিপর্যয়ের মাত্রা খতিয়ে দেখবে। তার ভিত্তিতেই রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে অভিযোগ জানানো হবে।
ভারতীয় বিমানের বোমাবর্ষণে কয়েক ডজন পাইন গাছ মাটিতে মিশে গিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, যা ঘটেছে, সেটা পরিবেশ সন্ত্রাসবাদ। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
পাক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে গৃহীত ৪৭/৩৭ প্রস্তাব উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সামরিক প্রয়োজন না থাকলে নির্বিচারে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করা হলে তা চলতি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে গণ্য করতে হবে।