ইসলামাবাদ: ভারত মিডিয়া ও দেশবাসীকে সার্জিকাল স্ট্রাইকের ব্যাপারে জানানোর আগে পাকিস্তানকে অবগত করতে চেয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল লন্ডনে 'ভারত কি বাত, সবকে সাথ' অনুষ্ঠানে এ কথা বললেও মানতে নারাজ পাকিস্তান।
২০১৬-য় নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি গোড়া থেকেই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। আজ মোদীর মন্তব্য সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া, বারবার একই মিথ্যা বলে গেলেও তা সত্যি হয় না।
মোদী বলেন, ভারত সরকার দেশবাসী ও মিডিয়ার কাছে বলার আগে পাকিস্তানকে জানানোর জন্য বহুক্ষণ অপেক্ষা করেছিল। আমি বলেছিলাম, গোটা ভারত জানার আগে আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওদের জানানো উচিত। সকাল ১১টা থেকে আমরা ফোন করতে থাকি। কিন্তু ওরা ফোন তুলতেই ভয় পাচ্ছিল। শেষে ১২টায় ওদের সঙ্গে কথা হয়, তারপর ভারতীয় মিডিয়াকে জানানো হয়।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দাবির ব্যাপারে পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল আজ বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে ভারতের দাবি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তাঁকে উদ্ধৃত করে পাক চ্যানেল ডন জানিয়েছে, একটা মিথ্যার পুনরাবৃত্তি করলেও তা সত্যে পরিণত হয় না!
তিনি দাবি করেন, ভারতের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে পাকিস্তানকে হুমকি দেওয়া কথাবার্তা অবশ্যই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে উদ্বেগের ব্যাপার হওয়া উচিত।
মোদীর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ রপ্তানির অভিযোগের পাল্টা ফয়সলের দাবি, আসলে উল্টেটাই হচ্ছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিচ্ছে ভারতই । ভারতীয় চর কুলভূষণ যাদবই ভারতের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে চরবৃত্তি, নাশকতায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রাক্তন ভারতীয় নৌ কমান্ডার যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে দেশের সামরিক আদালত। ভারত এর বিরুদ্ধে গত বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক ন্যয় আদালতে আবেদন করে। তারা ভারতের আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত যাদবের মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে স্থগিতাদেশ দেয়।