লাহোর: ইদ-উল-আঝাতে কুরবানির পশুর চামড়া বেআইনিভাবে সংগ্রহ করতে গিয়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনের ২০ জন সদস্য। ধৃতদের মধ্যে ২০ জন জইশ-ই-মহম্মদ ও ২৬/১১-র মুম্বই হামলায় যুক্ত হাফিজ মহম্মদ সইদের জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।


মৃত পশুর চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলি বিক্রি করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাই এবার ইদের সময় নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির পশুর চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে গতমাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পঞ্জাব সরকার। সরকার যে ৬৪ টি সংগঠনের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা।

লাহোর পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল আথার ইসমাইল বলেছেন, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে হাফিজের ফালাহ-ই-ইন্সানিয়ত (এফআইএফ) এবং মৌলানা মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মহম্মদের সদস্যরা। হাফিজ ও মাসুদই গত বছরের উরি সেক্টরে ভারতীয় সেনা বাহিনীর ওপর হামলায় জড়িত বলে ভারত জানিয়েছে।

ইসমাইল বলেছেন, বেআইনিভাবে পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য এফআইএফ এবং জইশের সদস্য সহ ১০০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এফআইএফের ৪০-এর বেশি চামড়া সংগ্রহ কেন্দ্রও গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও সংগঠনের ভ্রাম্যমাণ কার্যকলাপও বন্ধ করে দিয়েছে।

এফআইএফের সহ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার চিফ কোঅর্ডিনেডর খাদিল ওয়ালিদ পুলিশের গ্রেফতারি ও সংগ্রহ কেন্দ্রগুলি ভেঙে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর অবশ্য দাবি, এফআইএফের ওপর কোনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই।

জামাত-উদ-দাওয়ার অভিযোগ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজের বিরুদ্ধে তারা যাতে প্রার্থী প্রত্যাহার করে, তার জন্য চাপ দিতেই পুলিশের এই অভিযান। নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে এভাবে চাপ তৈরির অভিযোগ এনেছে সংগঠনটি।