ইসলামাবাদ: জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ন্যায্য আশাআকাঙ্খা, প্রত্যাশাগুলি বুঝতে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল পাকিস্তান।

গতকালই নরেন্দ্র মোদী সরকার হিংসাকবলিত সীমান্ত রাজ্যে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নয়া পদক্ষেপ হিসাবে প্রাক্তন আইবি প্রধান দীনেশ্বর শর্মাকে নিয়োগ করেছে। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে 'লাগাতার আলোচনা' চালিয়ে যাবেন।

কিন্তু পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া এই পদক্ষেপ আন্তরিক, বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না বলে অভিমত জানান। সেইসঙ্গে বলেন, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত যদি কোনও বিষয়কে আবারও স্পষ্ট করে দিয়ে থাকে, তবে তা হল, বলপ্রয়োগ করে কোনও লাভ হয় না, আর আলোচনা ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। যদিও যে কোনও আলোচনাই অর্থবহ, ফলদায়ী হতে গেলে মূল তিনটি পক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও কাশ্মীরীদের তাতে সামিল করতে হবে। সেই মাপকাঠিতে হুরিয়ত কনফারেন্স নেতৃত্বকে বাদ রেখে কোনও আলোচনাই অর্থবহ হবে না, তার কোনও গুরুত্বই থাকবে না।

জাকারিয়া এও বলেন, এখন প্রয়োজন কাশ্মীরী জনগণের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যা শান্তিপূর্ণ পথে মেটাতে আলোচনা করা। এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি, সুস্থিতি সুনিশ্চিত করতে এটা করতেই হবে। পাকিস্তানের আশা, এমন পরিণতির দিকে এগনোর পথ প্রশস্ত করায় আন্তর্জাতিক মহল তার সঠিক ভূমিকা পালন করবে।