ইসলামাবাদ: সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে আমেরিকা যখন ক্রমশ চাপ বাড়িয়েই চলেছে, তখনই এক কট্টর মার্কিন-বিরোধী মৌলবীকে বয়স ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে জামিন দিল পাকিস্তানের পেশোয়ার হাইকোর্ট। ৮৪ বছর বয়সি মৌলানা সুফি মহম্মদ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-নিফাজ শরিয়ত-ই-মুহাম্মদির প্রধান। তালিবান প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহর শ্বশুর। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের পর তালিবানকে তাদের বিরুদ্ধে লড়ায় মদত দিতে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক পাঠিয়েছিলেন মৌলানা।
সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার আট বছর বাদে জামিনে ছাড়া পেলেন তিনি। ৭ লক্ষ টাকার দুটি জামিন বন্ডের বিনিময়ে মৌলবীকে ছেড়ে দিতে বলে হাইকোর্ট।
আমেরিকা থেকে সন্ত্রাস দমনে অর্থ পেয়েও সেদিকে নজর না দিয়ে পাকিস্তান জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযোগ তুলে নিরাপত্তা সহায়তা বাবদ ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ দেওয়া স্থগিত রাখায় তুঙ্গে পাক-মার্কিন বিরোধ। তার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই জামিন দেওয়া হল কট্টরপন্থী মৌলবীকে। ট্রাম্পের অভিযোগ, পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া আফগান তালিবান ও হক্কানি নেটওয়ার্ককে দমন করতে ব্যর্থ।
তেহরিক-ই-নিফাজ শরিয়ত-ই-মুহাম্মদি লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানে শরিয়তি শাসন। ২০০২ সালে তাদের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে দুই সঙ্গী সহ সন্ত্রাসবাদ, হিংসায় উসকানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মৌলানাকে, সোয়াটে তালিবান দমনে অপারেশন ব্ল্যাক থান্ডার অভিযান চলার মধ্যে। তত্কালীন পিপিপি সরকার ও তেহরিক-ই-নিফাজ শরিয়ত-ই-মুহাম্মদির মধ্যে রফা হয়েছিল। রফা অনুসারে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি সোয়াটের জন্য একটি আইনে সায় দেন, যাতে মালাকান্দ এলাকায় শরিয়ত চালু হয়, গ্রেফতার হন মৌলবী।