ইসলামাবাদ:  উরি হামলার পর ভারতের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ৫৬ বছরের পুরনো সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা ভাবছে ভারত। এরপরই পাল্টা চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ইসলামাবাদের তরফে কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তিতে সামান্য কোনও পরিবর্তন মেনে নেবে না পাকিস্তান।


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট তারিখ ফতেমি ডন-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দাবি করেছেন, পাকিস্তানের অবস্থান বিবেচনা করেই চুক্তিটি তৈরি হয়েছিল। তাঁর আশা ভারত এবং পাকিস্তান দুদেশেই যেকোনও পরিস্থিতিতে কথায় এবং কাজে চুক্তিটির যথার্থ সম্মান করবে।

সম্প্রতি কিষেনগঙ্গা (৩৩০ মেগাওয়াট) এবং রটলে (৮৫০ মেগাওয়াট), এই দুই জলপ্রকল্পকে নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ সরূপ জানতে চান, কিষেনগঙ্গা জলপ্রকল্প নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, কেন কোনও বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে তার সমাধান করা যাবে না। পাকিস্তান মূলত এই জায়গাতেই আপত্তি তুলেছে। এমনকি ভারত মনে করে, দীর্ঘসময় ধরে আলোচনা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া উচিত্ এবিষয়ে।

ভারতের এই গরিমসির সিদ্ধান্তেই চাপে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের দাবি, নয়াদিল্লি এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে এক পদ্ধতি নিয়ে সমস্যায় ফেলেছে।

১৯৬০ সালে যে চুক্তি নথিভূক্ত হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল ভারতের পূর্বের তিনটি নদী বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পাকিস্তানের পশ্চিমের সিন্দু নদ, চেনাব এবং ঝিলম-এর ওপর অধিকার থাকবে।

সাম্প্রতিক সমস্যার সূত্রপাত হল ভারত তাদের দুটি জলপ্রকল্পই কিষেনগঙ্গা এবং চেনাবের ওপর তৈরি করছে, ইসলামাবাদের দাবি যা সিন্ধু চুক্তি লঙ্ঘন করছে। এই সমস্যা গত কয়েক মাসে আরও ঘনিভূত হয়েছে কারণ, উরি হামলার পর মোদী হুঁশিয়ারি দেন পাকিস্তানে জল যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিন্ধু চুক্তিতে সাম্প্রতিক অচলাবস্থা নিয়ে  পাকিস্তান আদালতের মধ্যস্থা দাবি করেছে। কিন্তু এই দাবির বিরোধিতা করেছে নয়াদিল্লি। আপাতত এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে নয়া অস্থিরতা তৈরি হয়েছে দুদেশের মধ্যে।