পেশোয়ার: শরবত গুলাকে দোষ কবুল করার পর পাকিস্তান থেকে বের করে দিতে বলল পেশোয়ারের বিশেষ দুর্নীতি বিরোধী অভিবাসন আদালত। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯৮৫ সালের জুন সংস্করণের কভারে ছেপে বেরনো এই আফগান কন্যার ছবি আলোড়ন তুলেছিল দুনিয়াজুড়ে। ইদানীং তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন জাল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে পাকিস্তানে থাকার অভিযোগে। গুলা অভিযোগ মেনে নিয়েছেন।  আদালত তাঁকে ১৫ দিনের কারাবাস খাটার পর পাকিস্তান থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর ১১০০ মার্কিন ডলার (১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা) জরিমানাও হয়েছে। তাঁর কৌঁসুলি মুবাসির খান বলেছেন, ইতিমধ্যেই ওর ৯ দিন জেলে থাকা হয়ে গিয়েছে। আরও ৬ দিন কাটাতে হবে। জরিমানাও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই কারাবাসের সাজা শেষ হলেই ওকে পাকিস্তান থেকে বের করে দেওয়া হবে।


শুনানিতে সওয়াল করা হয়, গুল বিধবা, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি হেপাটাইটিস-সি হয়েছে তাঁর।

পাকিস্তানে কী দুর্দশার মধ্যে কাটাতে হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের, সেটাই পুরো দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছিল সবুজ চোখের ‘আফগান কন্যা’ গুলার ছবিটি। ১৯৮৪ সালে পেশোয়ারের নাসির বাগ উদ্বাস্তু শিবিরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর আলোকচিত্রী স্টিভ ম্যাককারি তুলেছিলেন ছবিটি। তখন গুলের বয়স ১২। সেই ছবির সঙ্গে তুলনা করা হয় লিওনার্দা দ্য ভিঞ্চির মোনা লিসারও। ‘আফগান যুদ্ধের মোনালিসা’ বলে ডাকা হয় গুলাকে। তাঁকে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রও তৈরি হয়। এহেন গুলা জালিয়াতি করে পাকিস্তানি কম্পিউটারাইজড ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড জোগাড় করার অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর পেশোয়ারের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন।

বৈধ উদ্বাস্তু নন বলে জানিয়ে গুলের থেকে দূরত্ব তৈরি করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের হাই কমিশনারও।