ইসলামাবাদ: ইমরান গদিচ্যুত হতেই পাকিস্তানে (Pakistan Political Crisis) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের (Pakistan Prime Minister Election)  তোড়জোড়। সোমবার সকাল ১১টায় পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। তার জন্য রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হবে মনোনয়নপত্র গ্রহণ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এখনও পর্যন্ত বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।


প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শেহবাজ


ইমরান খান (Imran Khan) সরকারের আমলে ন্যাশনাল অ্য়াসেম্বলিতে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় ছিলেন শেহবাজ। ইমরান বিরোধী আন্দোলনেও নেতৃত্ব দেন। দাদার ছত্রছায়ার বাইরে নিজের আলাদা পিরিচিত গড়ে তুলতে পেরেছেন শেহবাজ। ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর বন্দি করা হয় তাঁকে। পরবর্তী কালে নির্বাসনে ছিলেন সৌদি আরবে। ২০১৭ সালে পানামা পেপার্স দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ ক্ষমতাচ্যূত হলে পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন শেহবাজ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সভাপতি নিযুক্ত হন।  পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও হন। সেই সময় দক্ষ হাতে একাধিক চিনা প্রকল্পের কাজ সামলেছেন। এ ছাড়াও ইমরান সরকারের আমলে বিরোধী নেতার ভূমিকায় ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়েছেন ইমরান


দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শনিবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের মসনদ থেকে অপসারিত হন ইমরান। তাঁর গদিচ্যূত করার পক্ষে ভোট দেন অ্যাসেম্বলির ১৭৪ সদস্য। ভোটাভুটির সময় অ্যাসেম্বলিতে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান। ছিলেন না তাঁর দলের কোনও সদস্যও। পরাজয়ের খবর পেয়েই এর পর ইসলামাবাদের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে ইমরান বেরিয়ে যান বলে। হেলিকপ্টারে চেপে তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে যান। 


টালমাটার পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার ইস্তফা দেন পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল। শনিবার সকাল থেকে ইমরান-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  তল্লাশি চালানো হয় ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের মুখপাত্রর বাড়িতেও। বাজেয়াপ্ত করা হয় পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন। এর আগে, শনিবার ভোটাভুটির পর, অতীত ভুলে এগনোর কথা শোনা যায় শেহবাজকে। প্রতিহিংসা নয়, গণতান্ত্রিক পথে দেশকে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানান।


আরও পড়ুন: Pakistan Political Crisis: গণ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটেই কৌশল রচনা! ইমরানের পতনের নেপথ্যে যাঁরা