গত বুধবার আইসিজে কুলভূষণ ইস্যুতে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে নির্দেশ দেয়, পাকিস্তানের সামরিক আদালতের প্রাক্তন ভারতীয় নৌঅফিসারকে দোষী ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এই প্রক্রিয়া চলা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলেও জানায় তারা। কেন কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কনস্যুলেটকে দেখা করতে না দিয়ে তাঁকে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলে তারা।
এবার পাক বিদেশমন্ত্রক বলল, আইসিজে-র সিদ্ধান্তক্রমে কমান্ডার কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার সম্পর্ক নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের ৩৬ অনুচ্ছেদের প্যারাগ্রাফ ১ (বি) এর আওতায় তাঁর অধিকার সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। দায়িত্বশীল দেশ হিসাবে পাকিস্তান কমান্ডার কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানের আইন মোতাবেক কনস্যুলেটের সঙ্গে দেখা করতে দেবে। এজন্য পন্থা-পদ্ধতি তৈরি করা হচ্ছে।
২০১৭-র এপ্রিলে কুলভূষণের পাক সামরিক আদালতে চরম শাস্তি ঘোষণার পর ভারত আইসিজে-তে আবেদন করে, তাঁর মৃত্যুদণ্ডে যেন স্থগিতাদেশ জারি হয়। কী করে কুলভূষণ রেহাই পেতে পারেন, তাও জানতে চাওয়া হয়। আইসিজে-র ১৬ সদস্যের বেঞ্চ কুলভূষণকে দোষী বলে দেওয়া রায় ও মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখতে, পুনর্বিবেচনা করতেও বলে পাকিস্তানকে। ৪২ পৃষ্ঠার রায়ে তারা এই মামলায় ভারতের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তিও খারিজ করে আইসিজে-র বেঞ্চ বলে, কুলভূষণের সাজার রায় ঠিকমতো খতিয়ে দেখতে হলে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখতেই হবে।