উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই পাক সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সাল জানিয়েছিলেন, কুলভূষণের কনস্যুলার অ্যাকসেস নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কথা হয়েছে। ওই দিনই ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়, কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করেই পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ যেন শীঘ্রই কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাতের বিষয়টিকে কার্যকর করে সেজন্য কথাবার্তা চলছে। এরপর সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনা অফিসারকে তারা কনস্যুলার অ্যাকসেস দেবে।
উল্লেখ্য, ১ অগাস্ট কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাতের একটি সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা কার্যকর হয়নি। পাকিস্তানের তরফে ২ অগাস্ট বেলা ৩টেয় একটি সূচি ঠিক করা হয়। পাকিস্তানের দাবি ছিল, পাক অফিসিয়ালদের সামনেই সেই সাক্ষাৎ করতে হবে। তবে ভারত সেই প্রস্তাব মানেনি। সেকারণে সেবার ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি কুলভূষণের।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেই আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের পক্ষে রায় দিয়ে পাকিস্তানকে তাদের সিদ্ধান্ত (ফাঁসি) পুনর্বিবেচনা করার কথা বলে এবং একই সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনা অফিসারকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার তাঁর সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাতের অনুমোদন দিল পাকিস্তান।