ইসলামাবাদ: সুর নরম পাকিস্তানের। বুধবার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানালেন, তাঁরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ কমাতে চান, নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরে আসতে বলা হাইকমিশনার সোহেইল মেহমুদকে আবার ভারতে পাঠানো হচ্ছে। আমাদের যাবতীয় সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেছেন কুরেশি। বলেছেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে চায়, যেগুলি দুদেশের শান্তির পথে অন্তরায়। চিন, আমেরিকা, রাশিয়ার মতো কিছু দেশের কূটনৈতিক দৌত্যের ফলে টেনশন কমছে, যা ইতিবাচক ব্যাপার।
সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে কুরেশি আরও বলেন, পাকিস্তান কূটনৈতিক উদ্যোগ আরও জোরদার করেছে। আমরা নয়াদিল্লিতে পাক হাইকমিশনার সোহেইল মেহমুদকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, জইশ-ই-মহম্মদের ঘটানো ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা সন্ত্রাসে ৪০ জওয়ানের মৃত্যুর পর জরুরি আলোচনার জন্য সোহেইলকে দেশে তলব করে পাকিস্তান। ভারত ইসলামাবাদে নিযুক্ত হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে নয়াদিল্লি ফিরে আসতে বলার পরই একই পদক্ষেপ করে তারাও। পুলওয়ামাকাণ্ডের পর ভারতীয় বায়ুসেনা ২৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের শিবিরে সন্ত্রাস দমন অভিযান চালায়। পরদিন পাল্টা হামলার চেষ্টা করে পাক বিমানবাহিনীও।
ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পিওকে তাঁর ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, কথা বলতে চাইনি, কিন্তু ঘটনা হল, বেসরকারি স্তরে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কাজ হয়েছে। ভারত-পাক টেনশন প্রশমনে ব্যক্তিগত স্তরে কূটনৈতিক চেষ্টার মাধ্যমে আমেরিকাও একটা ভূমিকা পালন করেছে।
দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চিন, রাশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, জর্ডনের বিদেশমন্ত্রীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানান কুরেশি। কর্তারপুর করিডর নিয়ে কথা বলতে একটি পাক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।