লাহোর: পাকিস্তানের জনপ্রিয় হিল স্টেশন মুরিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ২১ জনের। এই হিল স্টেশনকে বিপর্যয় কবলিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নজিরবিহীন তুষারপাত ও পর্যটকদের ভিড়ে পঞ্জাব প্রদেশের এই হিল স্টেশনে গাড়িতে আটকে পড়ে বেঘোরে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২১ জনের। নিহতদের মধ্যে নয়জন শিশু।


হাজার হাজার গাড়ি ঢুকে পড়ার পর রওয়ালপিন্ডি জেলার সমস্ত রাস্তাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে রাস্তাতেই অসহায়ভাবে আটকে পড়েন পর্যটকরা। প্রায় ১০০০ গাড়ি রাস্তাতেই আটকে পড়ে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজাদর দ্রুত উদ্ধার কাজ ও আটকে পড়া পর্যটকদের সাহায্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে  এ কথা জানানো হয়েছে।


যে খবর জানা গেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জন শিশু। মুরির পথে পর্যটকদের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত বলে জানিয়েছেন ইমরান।  ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, অভাবনীয় তুষারপাত ও আবহাওয়ার হালহকিকত না জেলে পর্যটকদের ভিড়ে জেলা প্রশাসন কার্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা এড়াতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধি আরোপ করা হয়েছে।


রাস্তা পরিষ্কার ও আটকদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।  তিনি বলেছেন, গত ১৫-২০ বছর এত সংখ্যক পর্যটক মুরিতে দেখা যায়নি। আর এই কারণেই সংকট দেখা দেয়। তিনি আরও বলেছেন, সরকার ইসলামাবাদ থেকে মুরি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।


রশিদ বলেছেন, রাত থেকে প্রায় ১ হাজার গাড়ি আটকে পড়ে। তার মধ্যে কয়েকটি উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িতেই তুষারে জমে ১৬-১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের খাবার ও কম্বল দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয়রা।


জানা গেছে, শনিবার সন্ধে পর্যন্ত হাজার খানের গাড়িকে বের করে আনা হয়েছে। রবিবার রাত নয়টা পর্যন্ত মুরিগামী রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। আপাতত মুরিতে পর্যটকদের যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে।


৬-৯ জানুযায়ি পর্যন্ত মুরিতে ব্যাপক তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগ। রওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, ২৩ হাজারের মতো গাড়ি বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।  এখনও হাজার খানেক গাড়ি আটকে রয়েছে।