ইসলামাবাদ: বিএসএফের দাবি উড়িয়ে দিল পাকিস্তান সেনা। সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিবর্ষণে তাদের কোনও জওয়ানেরই মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়ে দিল তারা।


বিএসএফ জানিয়েছিল, বিনা প্ররোচনায় জম্মুতে সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার পাকিস্তানের গুলিবর্ষণ, শেলিংয়ে দুজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু ও দুজনের জখম হওয়ার জেরে পাল্টা হামলা চালানো হয়। জম্মু, কাঠুয়া, পুঞ্চ ও রাজৌরিতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জনবসতি, সেনা চৌকিগুলি নিশানা করে পাক জওয়ানরা মর্টার হামলা চালিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকেও গোলাগুলি ছুঁড়েছে। জবাবি গুলিবর্ষণে ১৫ জন পাক আধাসামরিক রেঞ্জার খতম হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দাবি নাকচ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, অস্থায়ী সীমান্তে একজনও পাক জওয়ান মারা যায়নি। ভারতের দাবি পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন।

পাকিস্তানের এও দাবি, অস্থায়ী সীমান্তে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি লুকোনোর চেষ্টায়, পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে ভারত। তারই অঙ্গ হিসাবে পাক সেনাদের খতম করার এই দাবি তাদের।

এর পাশাপাশি পাকিস্তান এদিন ফের ইসলামাবাদে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার জে পি সিংহকে ডেকে পাঠিয়ে জানায়, ২৭ অক্টোবর সাকারগড় সেক্টরের অস্থায়ী সীমান্ত ও নিকিয়াল সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ‘বিনা প্ররোচনায়’ ভারতের গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। দুজন মহিলা সহ ৬ জন ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে, জখম হয়েছে ২২ জন সাধারণ মানুষ। পাক বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) ডঃ মহম্মদ ফয়সল ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করে ২০০৩ সালে দু দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার আবেদন জানান।

ক্রমাগত ঘটে চলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের তদন্ত চাই, ভারতীয় জওয়ানদের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হোক, সীমান্তের গ্রামগুলিকে টার্গেট করা বন্ধ করে অস্থায়ী সীমান্ত, নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখা হোক, ভারতের কাছে এসব দাবিও জানিয়েছে পাকিস্তান।

প্রসঙ্গত, এই নিয়ে  এক সপ্তাহে তিনবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠাল ইসলামাবাদ।