তাঁর কাছে অভিযোগ পেশ করে জনৈক খালিদ সঈদের দাবি, তালিবানের ধাঁচে সম্প্রতি ‘দারুল কাজা শরিয়া’ নামে ‘শরিয়তি আদালত’ স্থাপন করেছে জামাত। ‘চটজলদি, তড়িঘড়ি বিচার, সাজা’ ঘোষণাই এই বেসরকারি, সমান্তরাল বিচার ব্যবস্থার উদ্দেশ্য। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশেই এ ধরনের প্রথম আদালত বসেছে বলে জানান খালিদ। দাবি করেন, তাঁকে ‘দারুল কাজা আল শরিয়া’-র লেটারহেডে লেখা সমন পাঠিয়ে ‘শরিয়া সালিশি আদালতে’ হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জামাতের আদালতের বিচারকের দায়িত্বে থাকা এক কাজিও তাঁকে ফোন করেন। কাজিও তাঁর সামনে হাজিরা দিতে বলেছেন তাঁকে, জানান খালিদ।
এহেন বেআইনি হাজিরা-সমনের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, এমনকী পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির কাছেও তিনি আবেদন পাঠিয়েছেন, কিন্তু কোনও সাড়া পাননি বলে জানান খালিদ। এভাবে সমান্তরাল বিচার চালিয়ে সংবিধানকে ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান খালিদ।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামাতের কাজি হাফিজ ইদ্রিস, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিব, ফেডারেল আইনমন্ত্রী, পঞ্জাবের মুখ্য সচিব, পঞ্জাব পুলিশের আইজি, লাহোর পুলিশের প্রধানকে নোটিস জারি করে ২৬ এপ্রিল জবাব দিতে বলেছে লাহোর হাইকোর্ট।