ইসলামাবাদ: ২ মাসের আদরের বিড়ালটি মারা গিয়েছে। পোষ্যের মৃত্যুর জন্য পশুচিকিত্সককেই অবহেলার দায়ে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা  ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন পাকিস্তানের এক মহিলা।


পেশায় আইনজীবী সুনদাস হুরেইন নামে ওই পশুপ্রেমী মহিলা জানিয়েছেন, তিনি রুটিন চেক আপ করাতে বিড়ালটিকে এখানকার ডঃ ফয়সল খানের ক্লিনিকে নিয়ে যান। তিনি বলেন, আমার বিড়ালকে হাসপাতালে ভর্তি করে নিয়ে পরদিন আমায় আসতে বলা হয়। পরদিন ক্লিনিক থেকে পোষ্যকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর সেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। 'দি ডন'-এর খবর, বিড়ালটিকে আরেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তিনি। সেখানেই মারা যায় সেটি। হুরেইন বলেন, ডঃ রানা আমাকে বলেছেন, বিড়ালটিকে খুব কম তাপমাত্রায় রাখা হয়েছিল, যাতে ওরা থাকতে পারে না।  ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট স্থানীয় আদালতে পেশ হয়েছে, তাতে তীব্র শীত, ডিহাইড্রেশন ও অনাহারে রাখাই বিড়ালের মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফয়সল খান ও তাঁর সংস্থার এক কর্মীর বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ২৩৮৪৯২ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন হুরেইন। তাঁদের কারাবাসের সাজাও চান তিনি।

পাশাপাশি ভেটরিনারি কাউন্সিলের কাছে তাঁর প্রস্তাব, জন্তু-জানোয়ারদের চিকিত্সার ওপর নজরদারির জন্য সব পশু হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হোক।