নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমার যুগে একজন চা-বিক্রেতাও আচমকাই সুপার মডেল হয়ে যেতে পারেন। কোনও এক অজানা 'সোনম গুপ্তা'কে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যেতে পারে। আদপেই তাঁর অস্তিস্ত রয়েছে কিনা, তা না জেনেই ট্রেন্ডিং শুরু হয়ে যেতে পারে। এখন প্রশ্ন, এই হুজুগের শেষ কোথায়! সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারদের নজর কাড়তে এমন অনেক  কিছু করা হয়, যা সমস্ত সীমা লঙ্ঘণ করে। কেউ বিপজ্জনক স্টান্ট করেন, আবার কেউ অন্যকে বিপদে ফেলে দেন।
এমনই একজন চমক দিতে বিপদে ফেললেন তাঁর গার্লফ্রেন্ডকে। তিনি দুই বন্ধুকে দিয়ে বয়ে আনলেন দুটি অতিকায় সাপ। ঘরে তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন তাঁর গার্লফ্রেন্ড। ওই অবস্থাতেই তাঁর গায়ে ছেড়ে দেওয়া হল সাপ দুটি। পাশাপাশি ক্যামেরা বাগিয়ে ছবিও তুলতে শুরু করলেন ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীরা।
ঘুম ভেঙে দুটি বিশাল সাপ দেখে আঁতকে ওঠেন ওই মহিলা। চিলচিত্কার জুড়ে দেন তিনি। কিন্তু তাঁর বয়ফ্রেন্ড ও সঙ্গীরা নিজেদের মধ্যে মজামস্করা করে ছবি তুলতেই ব্যস্ত থাকলেন। মহিলার ততক্ষণে আতঙ্কে হার্টফেল করার যোগাড়।
শেষপর্যন্ত সাপ দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়। ততক্ষণেও আতঙ্ক কাটেনি ওই মহিলার। বয়ফ্রেন্ড কাছে স্বান্তনা দিতে এলে লাথিও ছুঁড়তে দেখা যায়।
এ ধরনের মজামস্কার আদৌ সঠিক নয়। কারণ, ওই মহিলা তো আতঙ্কে মারাও যেতে পারতেন। এটাকে খুনের চেষ্টার সামিল বলেও অভিহিত করা যায়।