ওয়াশিংটন: পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই এই ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু এবার সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরব হলেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারত থেকে যে মুসলিমরা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের লোকজন বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।


ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়ে বসবাস করা মুসলিমদের ‘মুহাজির’ বলে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ, এখনও তাঁদের ভারতীয় বলে মনে করা হয়। সেই কারণেই মুহাজিরদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এরই প্রতিবাদে হোয়াইট হাউস ও ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুহাজিররা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্টের (এমকিউএম) এক কর্মী। তাঁর অভিযোগ, করাচিতে বহু মুহাজিরকে খুন করা হয়েছে। অনেকেই চাকরি পাননি। ফলে তাঁদের আর্থিক স্থায়িত্ব নেই।

বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী মুহাজিররা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাবশালী কর্তা এবং কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে করাচির বাস্তব পরিস্থিতির বিষয়ে অবহিত করছেন। রিপাবলিকান পার্টির এক প্রভাবশালী মহিলা সদস্য বলেছেন, কংগ্রেসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।