ইসলামাবাদ: পানামা পেপার্সকাণ্ডের জেরে বরখাস্ত হয়েছেন। এবার আরও বিপাকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফ, তাঁর তিন ছেলে-মেয়ে হাসান, হুসেইন ও মরিয়ম, জামাই মহম্মদ সফদর এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করল পাকিস্তানের দুর্নীতি-দমন সংস্থা।

গত ২৮ জুলাই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বরখাস্ত হন শরিফ। এরপর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি) শরিফ ও তাঁর পরিবারের লোকজন এবং অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬ সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতির মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে শুক্রবার। তবে তার আগেই রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদের দুর্নীতি-দমন আদালতে মামলা দায়ের করেছে এনএবি। আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের পর মামলাগুলি অনুমোদন করেছেন এনএবি-র চেয়ারম্যান কামার জামান চৌধুরী।

শরিফ, তাঁর ছেলে-মেয়ে ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয়েছে লন্ডনের পার্ক লেন অঞ্চলে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগে। দ্বিতীয় মামলাটি শরিফ ও তাঁর ছেলে হুসেইনের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে একটি ইস্পাত কারখানা গড়ে তোলার অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। তৃতীয় মামলাটি শরিফ ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এই মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক বেসরকারি সংস্থা গড়ে তোলার অভিযোগ করা হয়েছে। চতুর্থ মামলাটি পাক অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলাগুলিতে দোষী সাব্যস্ত হলে শরিফদের বেশ কয়েক বছর কারাবাসের সাজা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

পাকিস্তানের শাসক দল পিএমএল-(এন) শরিফদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যৌথ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আবেদনও জানানো হবে জানিয়েছে পিএমএল-(এন)। অন্যদিকে, শরিফ, তাঁর ছেলে, মেয়ে, জামাই ও অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তানের বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। তাঁর আরও দাবি, মামলা দায়ের হওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।