এই মন্দির তৈরির জন্য ১০ কোটি টাকার অনুদানে খোদ প্রধানমন্ত্রী ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু মানবাধিকার সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি লাল চাঁদ মালহির উপস্থিতিতে পাকিস্তানের রাজধানীতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সপ্তাহখানেক বাদে বাগড়া দিয়েছেন পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের অ্যাসেম্বলির স্পিকার চৌধুরি পারভেজ ইলাহি। তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল ইসলামের নামেই। তাই রাজধানীতে একটি নতুন মন্দির নির্মাণ শুধু ইসলামের আদর্শের পরিপন্থীই নয়, তা রিয়াসত-ই-মদিনারও অপমান।
অথচ প্রাদেশিক মন্ত্রী ফায়াজুল হাসান চোহান ২ জুলাই মন্দির তৈরির কাজ পরিকল্পনামতোই এগবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এমনকী এও পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যে, ২০১৬য় পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) সরকারই ইসলামাবাদের মন্দির তৈরির জমি বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু তাঁর আশ্বাসবাণী ব্যর্থ হতে বসেছে বলে ঘটনাক্রম থেকে মনে হয়।
ইসলামাবাদের এইচ-৯ এলাকায় ২০ হাজার বর্গফুট জমির ওপর কৃষ্ণ মন্দির তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সময় মানবাধিকার সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি লাল চাঁদ মালহি, যিনি ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, বলেছিলেন, স্বাধীনতা ও দেশভাগের আগের কালে ইসলামাবাদে একাধিক মন্দির ছিল, কিন্তু সবগুলিই এখন পরিত্যক্ত, ব্যবহার হয় না।