ইসলামাবাদ: যদি এনপিটি সই না করেও এনএসজি-তে ঢোকা যায়, তবে ভারতের থেকে পাকিস্তানের অধিকার বেশি, কারণ পাকিস্তান অনেক বেশি যোগ্য। স্থানীয় এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই চোখ কপালে তোলা দাবি করলেন পাক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ।

তাঁর কথায়, ১৯৭৪-এ ভারতের পরমাণু পরীক্ষার জেরেই এনএসজি গঠিত হয়। কিন্তু ভারত নাকি পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করেনি, উল্টে এখান থেকে পরমাণু সংক্রান্ত উপাদান চুরিও যায়। কিন্তু এমন কাণ্ড পাকিস্তানে কক্ষনো ঘটেনি। তাই পাকিস্তানের এনএসজি-তে প্রবেশের দাবি ভারতের থেকে অনেক বেশি। যাতে ভারতকে টপকে এনএসজি-তে ঢুকে পড়া যায়, সে জন্য ইসলামাবাদ নানা দেশের সঙ্গে কথাও চালাচ্ছে। ভারতের পরে এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করলেও ৩ মাস ধরে তাঁরা আবেদনপত্র তৈরি রেখেছিলেন বলেও আজিজ দাবি করেছেন। তাঁর আরও দাবি, গোটা বিশ্ব দেখছে, কীভাবে ইসলামাবাদ নিজেদের পরমাণু প্রযুক্তি চোখের মণির মত আগলাচ্ছে। তাই আশা, ভারত এনএসজি-তে ঢুকলে পাকিস্তানও পিছিয়ে থাকবে না।

ঘটনা হল, আজিজ ভুলে গেলেও আন্তর্জাতিক বিশ্ব মোটেও ভোলেনি, কীভাবে পাক পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান উত্তর কোরিয়ার মত রাষ্ট্রের হাতে পরমাণু প্রযুক্তি তুলে দেন। যেভাবে পাকিস্তান ইসলামি জঙ্গিদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে, তাতে সে দেশের পরমাণু প্রযুক্তি জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কাও রীতিমত প্রবল। তাই আজিজ যাই বলুন, একমাত্র চিন ছাড়া অন্য দেশগুলি তাঁদের পরমাণু প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরতর সন্দিহান। ফলে পাকিস্তানের এনএসজি প্রবেশের সম্ভাবনা নিয়ে সম্দেহ রয়েই যাচ্ছে।