পাক নির্বাচন কমিশনে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছিল। ইমরানের আইনজীবী বাবর আওয়ান দাবি করেন, তাঁর মক্কেল বিদেশ থেকে এক ঘণ্টা আগে ফিরেছেন। তাই তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগকারীর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ইমরানের যদি নির্বাচন কমিশনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকত, তাহলে তিনি হাজির হতেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে নির্বাচন কমিশনের বিচারপতি অবমাননার মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইমরানকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য ইমরানকে এক লক্ষ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গত মাসে অবমাননার মামলায় ইমরানকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। ইমরান নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে গত ১০ অগাস্ট নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, অবমাননার মামলার বিচার করার আইনি বৈধতা তাদের আছে। এরপর ইমরানকে ফের কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে ২৩ অগাস্টের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু ইমরান জবাব না দিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেন। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল।