নয়াদিল্লি: বড় দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন ভারতে কর্মরত পাকিস্তানি হাইকমিশন কর্মীরা। গোটা বিশ্ব করোনা টিকা নিচ্ছে আর তাঁদের মধ্যে প্রশ্ন, ভারতে তৈরি এই টিকা নেওয়া ঠিক হবে কিনা। এ নিয়ে তাঁরা পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পথনির্দেশ চেয়েছেন।

গোটা বিশ্বের মানুষ এখন করোনা টিকা নিচ্ছেন। ভারতেও পুরো দমে চলছে এই টিকা নেওয়া, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪২ লক্ষ ভারতীয় করোনা টিকা নিয়েছেন। টিকা পেয়েছে পাকিস্তানও, তাদের বন্ধু চিন ৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা দান করেছে তাদের। এই ডোজ দিয়েই পাকিস্তানে শুরু হওয়ার কথা ছিল করোনা টিকাকরণ অভিযান, ঠিক ছিল, ভারতের মত পাকিস্তানেরও চিকিৎসক, অচিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা যুদ্ধ করছেন তাঁরা এই টিকা আগে পাবেন। পাকিস্তানে কর্মরত চিনা রাষ্ট্রদূত নোঙ্গ রোঙ্গ বড় মুখ করে বলেন, চিন তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে, বিশ্বের মানুষকে যত দূর সম্ভব সাহায্য করবে। পাকিস্তান চিন সরকারের থেকে দান হিসেবে টিকা পাওয়া প্রথম দেশ ও চিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী। চিন আশা করছে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও বাড়বে যাতে আরও বেশি মানুষ এর থেকে উপকৃত হতে পারেন।

এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু গোলমালটা বাধিয়েছেন খোদ পাকিস্তানি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদ। তিনি ঝপাত করে মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন, চিনা টিকা নেবে তো নাও কিন্তু নিজের ঝুঁকিতে। শরীর খারাপ হলে দায়িত্ব নেবে না সরকার। বেশ কয়েকটি দেশে এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। তা ছাড়া এই টিকা কতদিন পর্যন্ত কাজ করবে সেটাও একটা প্রশ্ন। ফলে সাধারণ পাকিস্তানিরা তো বটেই, কূটনীতিকরাও চিনা টিকা ব্যবহার করতে ভরসা পাচ্ছেন না।

ভারত অবশ্য মঙ্গলবারই পাক কূটনীতিকদের করোনা টিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। দিল্লিতে কর্মরত সব বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে এই আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে তারা, পাকিস্তানও ব্যতিক্রম নয়। যদিও পাকিস্তানি কূটনীতিকরা দ্বিধায় রয়েছেন, ভারতীয় করোনা টিকা ব্যবহার করা তাঁদের পক্ষে উচিত হবে, কি হবে না।