ইসলামাবাদ:  উরি হামলার পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিকভাবে একঘরে হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এজন্য পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি(পিপিপি)-র এক প্রবীণ নেতা নওয়াজ শরিফ সরকারকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র-বহির্ভূত শক্তিগুলিকে প্রধানমন্ত্রী শরিফ স্বাধীনতা দেওয়ার কারণেই এভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের।এটা শরিফের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা।

পিপিপি নেতা আইতজাজ এহসান বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা। ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তিগুলির লাগাম টেনে ধরতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এহসান বলেছেন, তিনি কোনও দেশে অস্থিরতা চান না। কারণ, ওই রাষ্ট্র-বহির্ভূত শক্তির জন্য দোষটা এসে পড়ে পাকিস্তানের ওপর।

উরিতে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে যে বিবৃতি পাক মন্ত্রিসভা দিয়েছে তারও কড়া সমালোচনা করেছেন পিপিপি নেতা। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভা বিবৃতি দিল যে, ‘আমরা বিশ্বাস করি উরি হামলায় পাকিস্তানের কোনও যোগ নেই’।

এই বিবৃতি সঠিকভাবে পাক যোগ অস্বীকার করার উপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন এহসান। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে যে বার্তা যায় তা হল , ‘কোনও রাষ্ট্র-বহির্ভূত শক্তি এর পিছনে রয়েছে কিনা, তা আমরা জানি না’।

পিপিপি নেতা আরও বলেছেন, ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান পুরোদমে রূপায়ণ করতে না পারলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে এবং তার দায় পাকিস্তানের ঘাড়ে পড়বে এবং একঘরে হয়ে যেতে হবে। এমনকি, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান আমাদের সঙ্গে কথা বলবে না। নেপাল,ভুটানও ভারতকে সমর্থন করতে শুরু করবে।

পাকিস্তানের এই কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার জন্য এহসান শরিফকেই দায়ী করেছেন। কারণ, শরিফই বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, বিশেষ করে কাশ্মীর সম্পর্কে নীতিগত-নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য গঠিত পাক সেনেট কমিটি দুই দেশের মধ্যে ব্যাক চ্যানেলে কথাবার্তা শুরু করার কথা বলেছে। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।