কাভানের প্রয়োজনমত চিকিৎসার দাবিতে পিটিশনে দেশি বিদেশি মহল থেকে সই জোগাড় হয়েছে দুলাখেরও বেশি। শেকলবন্দি কাভানের ছবি বন্যপ্রাণীপ্রেমীদের মধ্যে তোলপাড় তুলেছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, এখন আর কাভানের পায়ে শেকল থাকে না, নির্ধারিত জায়গায় ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ায় সে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে ছোট্ট একটি জায়গায় কাভানকে আটকে রাখা হয়েছে, তাতে অসুস্থ হয়ে পড়া স্বাভাবিক। ইসলামাবাদের ৪০ ডিগ্রির ওপর গরমে অল্প ছাউনির মধ্যে বন্য হাতির বছরের পর বছর কাটানো রীতিমত কষ্টকর। এশীয় হাতিরা গভীর ক্রান্তীয় অরণ্যে হাজার হাজার কিলোমিটার পেরিয়ে যেতে পারে। অথচ কাভানের ঘোরার জায়গা বলতে ৯০ বাই ১৪০ মিটারের এক ফালি জমি, আশপাশে গাছপালার বালাই নেই, ছায়াও যৎসামান্য।
১৯৮৫-তে শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে আসা হয় ১ বছরের শিশু কাভানকে। তার সঙ্গী সহেলিকেও আনা হয় শ্রীলঙ্কা থেকেই, ১৯৯০-এ। ২০১২-য় সহেলি মারা যাওয়ার পর থেকেই কাভান পুরোপুরি একা। আগে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শেকল বেঁধে রাখা হত, বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের পর তা বন্ধ হয়েছে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি।
কাভানের অবস্থা দেখে এখন দাবি উঠেছে, তাকে মুক্তি দিয়ে কোনও অভয়ারণ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। সেখানে নির্বিঘ্নে বাঁচতে পারবে সে। তবে সেই দাবি মানা হবে কিনা তা সময়ই বলবে।