ইসলামাবাদ: ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা নিয়ে নওয়াজ শরিফের মন্তব্যকে অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক বলে উল্লেখ করে তা খারিজ করল পাকিস্তানের আসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব। একইসঙ্গে, এধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করল পাক প্রশাসন।


সম্প্রতি, একটি সাক্ষাতকারে মুম্বই হামলা নিয়ে পাকিস্তানের নীতি নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন ক্ষমতাচ্যূত পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ। তাঁর মতে, মুম্বইয়ে হত্যালীলা চালানোর জন্য ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর’-দের সীমান্ত পার করতে দেওয়াটা পাক প্রশাসনের ভুল নীতি ছিল। তিনি এ-ও স্বীকার করেন, পাকিস্তানে আজও  বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।


শরিফের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক হয়। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির বাসভবনে জরুরি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের ডাক দেয় পাকিস্তানের শীর্ষ অসামরিক-সামরিক সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি)। বৈঠকের পর কমিটির তরফে জানানো হয়, মুম্বই হামলা নিয়ে শরিফের করা মন্তব্য অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক। যে কারণে, তা সর্বসম্মতভাবে খারিজ করা হচ্ছে।


কমিটি জানায়,  এধরনের মতামত প্রকাশিত হওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাদের দাবি, যে মতামত (শরিফ) প্রকাশ করা হয়েছে, তথ্য ও বাস্তব নয়, সম্পূর্ণ ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে রয়েছে। কমিটি আরও জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত মামলার গড়িমসির জন্য দায়ী ভারতই।


কমিটির দাবি, হামলার মূল অভিযুক্ত আজমল কাসবের সঙ্গে তদন্তকারীদের (পাক) কথা না বলতে দেওয়া এবং তাকে দ্রুত ফাঁসি দেওয়ার জন্যই এই মামলার অগ্রগতি থমকে গিয়েছে। কমিটি তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, কুলভূষণ যাদব ও সমঝৌতা এক্সপ্রেস কাণ্ডে এখনও পাকিস্তান ভারতের সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কমিটির দাবি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে তাদের লড়াই চলবে।


এদিকে সূত্রের খবর, বৈঠকের পর শরিফের সঙ্গে দেখা করে কমিটির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাঁকে অবগত করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। খাকান আব্বাসির সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কথা হয় শরিফের। জানা গিয়েছে,  সেখানে শরিফ নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন, তাঁর মন্তব্য নিয়ে অযথা হইচই করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে অন্যরাও একই কথা স্বীকার করেছে।