ওয়াশিংটন: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু সংঘর্ষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি, মার্কিন কংগ্রেসে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে হারে পাকিস্তান নিজেদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারকে প্রসারিত করছে, নিত্যনতুন পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে ঝুঁকছে এবং পূর্ণ শক্তিতে প্রথমেই পরমাণু হামলার নীতি নিয়েছে, তাতে বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ লাগতেই পারে।

কংগ্রেসানাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস) নামের ওই রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের হাতে বর্তমানে ১১০-১৩০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। তবে, এর বেশিও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সর্বশেষ রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের মূল লক্ষ্যই হল ভারতের প্রতিরক্ষাকে ধ্বংস করা। যাতে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই না চালাতে পারে।

প্রসঙ্গত, রিপোর্টটি এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যথন ৪৮টি দেশকে নিয়ে গঠিত পরমাণু সরবরাহকারী রাষ্ট্রের গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ভারতের মতোই চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তানও।  গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত সহ সেদেশের শীর্ষ নেতৃত্ব মার্কিন সাংসদদের ক্রমাগত চিঠি দিয়ে, দেখা করে এনএসজি সদস্যপদ আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আরও আশঙ্কা, পাক সরকারের ওপর যখন তখন অভ্যুত্থানের ছায়া নেমে আসতে পারে। এছাড়া, পাক পরমাণু কমপ্লেক্সের মধ্যে থেকেই পরমাণু অস্ত্র বা প্রযুক্তি গায়েব হতে পারে। যদিও, পাক ও মার্কিন প্রশাসন উভয়ই আশ্বাস দিয়েছে যে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিরাপদই আছে, তবুও, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জন্য সেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতেই পারে। পাশাপাশি, পাকিস্তান যে অন্য দেশকে পরমাণু প্রযুক্তি পাচার করছে না, সেই নিশ্চয়তাও নেই।

ফলে, সব মিলিয়ে যদি ভারতীয় উপমহাদেশে পরমাণু সংঘর্ষ বাঁধে, তাহলে তার ফল ভয়াবহ হবে।