বেজিং:  মাত্র মাসখানেক আগেই ডোকলাম নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে চলা দীর্ঘ চাপানউতোরে ইতি পড়ে। দুদেশই সংঘাতস্থল থেকে দীর্ঘ টালবাহনার পর সেনা সরিয়ে নেয়। কিন্তু সম্প্রতি গতবারের সংঘাতস্থল থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে ফের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে চিনা সেনা। সেই প্রসঙ্গে এবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, ডোকলাম তাঁদের এলাকা। নিজেদের জমিকে রক্ষা করা তাঁদের কর্তব্য। তাই ডোকলামে সেনা মোতায়েন নিয়ে কেউ কোনও প্রশ্নই করতে পারেন না বলেও দাবি করা হয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে।


প্রসঙ্গত, ডোকলামে সীমান্ত রক্ষার জন্যে সর্বক্ষণই চিনা সেনা মোতায়েন করা থাকে, এবং পুরোটাই সীমান্ত চুক্তি অনুসারে হয়, দাবি বেজিংয়ের। ডোঙলাঙ যে চিনেরই অংশ এবিষয়ে কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেও দাবি করা হয়েছে সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে।

এদিকে ডোকলাম সীমান্তে সাম্প্রতিক এই বদল প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিক্রিয়া, আপাতত সংঘাতস্থলে নতুন কোনও অগ্রগতির খবর নেই তাঁদের কাছে। ডোকলাম নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে সম্প্রতি যে সমাঝোতা হয়েছে, সেপ্রসঙ্গে নয়াদিল্লির মতামত, আপাতত সেই স্থিতাবস্থাই বজায় রয়েছে।

এবছর জুনে ডোকলামে চিনা সেনা রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে। সেসময় তাদের কাজে বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। এলাকায় সেনা মোতায়েন করে দেয় নয়াদিল্লি। চিনও ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে রাখে। ইতিমধ্যে এলাকাটি ভুটানের অন্তর্ভূক্ত বলে দাবি করা হয় সেদেশের তরফে। একসময় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত-চিনের মধ্যে ছোট আকারের যুদ্ধের সম্ভাবনাও দেখা দেয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে দুদেশের কাছেই অনুরোধ করা হয়, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার। অবশেষে এবছর অগাস্টে ডোকলামকে কেন্দ্র করে ভারত-চিনের মধ্যে চলা ৭৩ দিনের দীর্ঘ চাপানউতোরের শেষ হয়।

তারপর আচমকাই এই সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ডোকলামে ফের নতুন করে সেনা মোতায়েন করছে বেজিং। গতবারের সংঘাতস্থল থেকে ১০ কিমি দূরত্বে শুরু হয়েছে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও।