ইসলামাবাদ: আমি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই। যিনি কাশ্মীরের মানুষের বাসনা, আকাঙ্খা অনুযায়ী কাশ্মীর বিতর্কের সমাধান করতে পারবেন, উপমহাদেশে শান্তি, মানব উন্নয়ন অর্জনে সাহায্য করতে পারবেন, ওই পুরস্কার তাঁরই পাওয়া উচিত। বললেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবিতে প্রস্তাব পেশ হয়েছে। আকাশপথের যুদ্ধে পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়া ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেশের জনতার কাছে হিরো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সঙ্গে চলতি উত্তেজনা প্রশমনে তাঁর এই উদ্যোগের উল্লেখ করে ২ মার্চ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব পেশ হয় পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে। তাতে বলা হয়, চলতি উত্তেজনার আবহে ‘দায়িত্বশীল আচরণ’ করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার হয়ে উঠেছেন ইমরান।





তার প্রেক্ষিতেই ইমরানের আজকের ট্যুইট। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ তাঁর বক্তব্য রিট্যুইট করেছে।
পুলওয়ামা হামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চলে। পরদিন পাকিস্তান এফ-১৬ সহ ২৪টি যুদ্ধবিমান নিয়ে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। পাক বিমানকে তাড়া করা ৮টি মিগ-২১ এর একটিতে ছিলেন অভিনন্দন। একটি এফ-১৬কে গুলি করে ভূপতিত করলেও পাকিস্তানের মাটিতে পড়ে ধরা পড়ে যান তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টে ইমরান ঘোষণা করেন, শান্তির বার্তা দিতে, ভারতের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তাঁরা অভিনন্দনকে ছেড়ে দেবেন।