ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও ইমরান আসিফের অভিযোগ, কাঠমান্ডু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভুল সঙ্কেত দেয়। কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, বিমান চালক তাদের বার্তা অমান্য করে ভুল দিকে নেমে পড়েন। বিমানটি নামার অনুমতি পাওয়ার একটু পরেই চালক বলেন, তিনি উত্তর দিক দিয়ে নামতে চান। বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, কোনও গন্ডগোল হয়েছে কিনা, তিনি বলেন, না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, বিমানটি রানওয়ের ওপর দিয়ে ঠিকভাবে দৌড়চ্ছিল না। টাওয়ার থেকে বারবার জানতে চাওয়া হচ্ছিল, চালক সুস্থ আছেন কিনা। তিনি ইতিবাচক জবাব দেন। পাইলটের সঙ্গে এটিসির যে কথোপকথনের রেকর্ড সামনে এসেছে, তাতেও বোঝা যাচ্ছে, বিমান কোনদিকে নামা উচিত তা নিয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে বিমান চালকের মতানৈক্য ছিল।
শুনুন সেই কথোপকথন
[embed]
গত ৩০ বছরে এটাই নেপালে ভয়ঙ্করতম বিমান দুর্ঘটনা। ৪৯ জনের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি ৭১ জন আহত হয়েছেন। যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, বিমানটি আচমকা প্রচণ্ড কাঁপতে শুরু করে, বারবার ওপর, নীচ, ডান, বাঁয়ে যাচ্ছিল সেটি। তারপরই শোনা যায় কান ফাটানো শব্দ।