২০ জুন আমেরিকার ৪৫-তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়া ট্রাম্পের সঙ্গে এই প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাত্ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর। ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের আসনে বসার পর ফোনে অন্তত তিনবার কথা হয়েছে দুজনের।
বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারস্পরিক স্বার্থ জড়িত, এমন বিষয়গুলিতে দুটি দেশের বোঝাপড়া আরও গভীর করে তোলায় ও বহুমুখী কৌশলগত অংশিদারিত্ব জোরদার করার ক্ষেত্রে নতুন দিশা পাওয়া যাবে দুজনের বৈঠকে।
সম্প্রতি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ভারতকে কটাক্ষ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উন্নত দেশগুলি থেকে লাখ, লাখ ডলার পাওয়ার লোভেই ভারত ও অন্যরা জলবায়ু চুক্তিতে সই করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে অভিযোগ উড়িয়ে ভারত জাানিয়ে দেয়, অর্থের লোভে নয়, পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতার জন্য়ই প্যারিস চুক্তিতে সই করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে মোদীর।
দুজনের আলোচনায় আমেরিকায় ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলি যে এইচ১বি ভিসা ব্যবহার করে, তা নিয়ে কথা হতে পারে। এছাড়া, সন্ত্রাসবাদ, দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত স্বার্থের মেলবন্ধন ঘটানো নিয়েও কথা বলতে পারেন তাঁরা।
গত মাসেই ট্রাম্প এক নির্দেশে সই করেছেন যাতে এইচ১বি ভিসা কর্মসূচির নিয়মকানুনগুলি কঠোর করার কথা রয়েছে। ভিসার অপব্যবহার ঠেকানোই নাকি উদ্দেশ্য ওই নির্দেশের।
আবার তার পাশাপাশি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচআর ম্যাকমাস্টার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে আমেরিকা যে ভারতকে তার 'বড় প্রতিরক্ষা শরিক' হিসাবে দেখে, ফের তা জানিয়ে দিয়েছেন।
গত বছর মোদী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে মার্কিন সফরে যান। ওবামার সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনেও ভাষণ দেন তিনি।