এর আগে, ২০১৭ সালের নির্বাচনে নিউজিল্যান্ডে ন্যাশনালিস্ট পার্টি বেশি আসন পেলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। তখন গ্রিনস ও নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির সঙ্গে যৌথভাবে সরকার গঠন করে লেবার পার্টি। নিউজিল্যান্ডের এক কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের ১২০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসন পেলেই একক সরকার গঠন করা সম্ভব।
নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ ভোট গণনা হয়েছে। যার মধ্যে ৪৯ দশমিক দুই শতাংশ ভোট পেয়েছে লেবার পার্টি। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে তাঁর দল জয় পেয়েছে। ১৯৯৬ সালের পর নিউজিল্যান্ডে এই প্রথম কোনো দল এত বেশি আসনে জয়ী হতে হল। ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ব্রিইস এডওয়ার্ডস বলেন, 'এটা একটা ঐতিহাসিক পালাবদল। এর মধ্য দিয়ে নতুন কোনও ভিত্তি তৈরি হয়েছে।'
১৯৩০ সালের পর এত বিপুল হারে ভোট আর পায়নি লেবার পার্টি। সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই নির্বাচনের। তবে করোনা আবহে তা একমাস পিছিয়ে যায়। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় নির্বাচন। ভোটগ্রহণ চলে স্থানীয় সময়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শুরু হতেই জেসিন্ডার জনপ্রিয়তার ঢেউয়ে ভেসে যায় বাকি সব রাজনৈতিক দল। অতিমারী করোনা রুখতে অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পর জেসিন্ডা বলেন, '৫০ বছরে বিপুল জনসমর্থন পেয়েছে লেবার পার্টি। আমি কথা দিচ্ছি, আমাদের দল প্রত্যেক নিউজিল্যান্ডবাসীর জন্য কাজ করবে।'