নয়াদিল্লি: আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে সমুদ্র নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে এক আলোচনাসভা পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই অনুষ্ঠানের নির্ঘণ্ট জানানো হয়েছে। 


এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী এই দয়িত্ব পালন করবেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি ওই সভা পরিচালনা করবেন।  সমুদ্রপথের নিরাপত্তা বাড়াতে কী করা উচিত, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বয় কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে সভায় আলোচনা হওয়ার কথা। বিকেল সাড়ে ৫টায় ওই আলোচনা সভা হওয়ার কথা। 


বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, উল্লেখযোগ্য়, আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান। এছাড়া, রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের প্রধান এবং প্রধান আঞ্চলিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


এদিনের বৈঠকে মূলত সামুদ্রিক অপরাধ ও নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলার উপায় এবং সমুদ্র অঞ্চলে সমন্বয় জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।  


অতীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সমুদ্র অপরাধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও প্রস্তাব পাস করেছে। এই প্রথমবার, এধরনের উচ্চস্তরের সভায় সামুদ্রিক নিরাপত্তার মতো একটি বিশেষ এজেন্ডা ইস্যুতে এমন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।


প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সামুদ্রিক নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক এককভাবে কোনও দেশই সমাধান করতে পারে না।  ফলত, সবদিক বিচার করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়টিকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 


আরও বলা হয়েছে, সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে একটা নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে, বৈধ কার্যকলাপকে সমর্থন ও সুরক্ষিত করার পাশাপাশি প্রচলিত ও অপ্রচলিত হামলাকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়, তার সমবেত মোকাবিলা করা উচিত। 


এর আগে, ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সকলের জন্য উন্নয়ন (সাগর) পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর রেখাপাত করেছিলেন। সেখানে তিনি নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল সামুদ্রিক অঞ্চলের গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বয়পূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছিলেন।