ওয়াশিংটন : তিন দিনের সফরে আমেরিকা পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াশিংটন ডিসি-র জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট-এর আধিকারিকরা। ছিলেন আমেরিকায় ভারতীয় দূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধু। এর পাশাপাশি শতাধিক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।


তিন দিনের আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন। এছাড়া কোয়াড নেতৃত্বের বৈঠক এবং হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মার্কিন সফর।



শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এটাই উভয়ের প্রথম মুখোমুখি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকে আফগানিস্তানের পাশাপাশি গুরুত্ব পেতে চলেছে সন্ত্রাসবাদ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস, নিরাপত্তা, বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন বিষয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। 



এরপর হোয়াইট হাউসে কোয়াডের চর্তুদেশীয় বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। বাইডেন ও মোদি ছাড়াও এই বৈঠকে থাকবেন জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। শনিবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনেও বক্তৃতা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। ওই দিনই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।  চলতি বছরের মার্চে ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রথম বৈঠক, এপ্রিলে জলবায়ু সম্মেলন বা জুনে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের সম্মেলনেও দুই নেতার ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান নিয়ে অবস্থান প্রসঙ্গে ঘরে-বাইরে সমালোচিত হয়েছেন বাইডেন। তালিবানি শাসন চিন্তা বাড়াচ্ছে নয়া দিল্লিরও। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফর বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 



এদিকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক পরিস্থিতি, সীমান্ত সন্ত্রাস, কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বহুপাক্ষীক প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 


সম্প্রতি নিজের ৭১তম জন্মদিনে মোদি জানান, "আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমরা একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারতের স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না। ভারতের জন্য আমাদের স্বাধীনতা যোদ্ধারা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছে। জয় হিন্দ।"