নয়াদিল্লি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবার জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বিষয়ে এবং দুই দেশের যৌথ প্রাধান্যের বিষয়ে কথা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দু-দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতেও জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করার পাশাপাশি, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।


মার্কিন মুলুকের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, সেদিকে নজর ছিল আন্তর্জাতিক মহলের। কারণ, সদ্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সখ্যতা পরিচিত ছিল সব মহলেই। মার্কিন মুলুকে যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল ‘হাওডি মোদি’ নামক অনুষ্ঠানের, তেমনই ট্রাম্পের প্রতি সৌজন্য ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকার আয়োজিত করেছিল ‘কেমছো ট্রাম্প’-র অনুষ্ঠান।


গতবছরের শুরুর দিকে যে অনুষ্ঠান নিয়ে সরগরম ছিল দেশে থেকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলও। সেবার  ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প বেশ কয়েকদিন ধরে ভারতসফর করেছিলেন। তবে বছর খানেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। গদিচ্যুত হয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন মুলুকের শাসনভার আপাতত বাইডেনের হাতে। জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা দখলের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেও এই প্রথমবার বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করলেন মোদি। আর সেখানেই কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নতির রাস্তা তৈরি করে জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনকেও ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন।


ফোনালাপের বিষয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা  হল, তাঁর কার্যকালের সাফল্য কামনা করেছি। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয় থেকে পরিবেশ রক্ষার মতো আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে।' পাশাপাশি দুই দেশের প্রধানের মধ্যে আলোচনার কথা জানিয়েছে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও।