সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও চিনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাকিস্তান-চিন অর্থনৈতিক করিডর, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তালিকাভূক্ত করা, পকরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভূক্তির বিরুদ্ধে চিনের ভোট দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম অফ অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে আবার চিনের আপত্তি রয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে, দু দেশের সেনাবাহিনীই প্রয়োজনে সরবরাহ এবং মেরামতের ক্ষেত্রে একে অপরের সাহায্য নিতে পারবে। এই পরিস্থিতিতে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে মোদীর সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে এ বছরের জুন মাসে তাসখন্দে শাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে মোদী ও জিনপিং শেষবার মিলিত হয়েছিলেন। আগামী মাসে গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে তাঁদের আবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকের পর মোদী ও জিনপিং ব্রিকস গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে জি-২০ সম্মেলনে নিজেদের কৌশল চূড়ান্ত করার পাশাপাশি আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনের রূপরেখাও চূড়ান্ত করেন তাঁরা।
গতকাল রাতে ভিয়েতনাম সফর সেরে হ্যাংঝাউ পৌঁছন মোদী। জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এবং সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। আগামীকাল জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং আর্জেন্তিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাকরির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন মোদী। তারপর তিনি দিল্লি ফিরে আসবেন।