ঢাকা: মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির নেতা মির কাসেম আলির। ১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ আদালত ফাঁসির সাজা দেয় আলিকে।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সময় রাত ১০.৩৫-এ কাশিমপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয় তার।
গত মঙ্গলবার কাসেমের ফাঁসির সাজা মুকুবের আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পর নিজের দোষ কবুল করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগটুকুই ছিল কাসেম আলির। কিন্তু শুক্রবার সে জানিয়ে দেয় প্রাণভিক্ষার আবেদন করবে না। তার পরই সরকার ও প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়ে যায় প্রাণদণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি। মির কাসেম আলির বাহিনী দিনের পর দিন অমানুষিক নির্যাতন করে খুন করেছে অজস্র মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘুকে।

সরকারি হুকুমনামা আজ দুপুরেই পৌঁছে যায় জেলে। সন্ধের পরই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আইজি প্রিজন এবং সিভিল সার্জেন কাশিমপুর জেলে আসেন। বিকেলে মির কাসেমকে দেখা করতে দেওয়া হয় তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, চার মাস আগেই ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছিল জামাত-ই-ইসলামির প্রধান মতিউর রহমান নিজামির। কাসেম আলিকে নিয়ে এখনও অবধি মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৬ অপরাধীর ফাঁসি হল। ফাঁসি হওয়ার পরেই ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল বেরোয়।