চিনের বেজিংয়ে মানববর্জ্য হাতে নিয়ে এভাবেই নিজের বক্তব্য রাখলেন বিল গেটস। বললেন, যে সব জায়গায় ঠিকমত শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই, সেখানে রোগ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। ছেলেমেয়েরা যখন খেলতে বাইরে যাচ্ছে, তারা এই সব দূষণের সম্মুখীন হচ্ছে, সঙ্গে আসছে রোগ, অপুষ্টি ও মৃত্যু। তাই মানবজীবনের ন্যূনতম অধিকার বলতে শুধু স্বাস্থ্য ও যথেষ্ট খাদ্য বোঝায় না, ব্যবহারযোগ্য টয়লেটও মানুষের অধিকার।
গেটস তাঁর অর্থের একটা বড় অংশ বিশ্বের নানা অংশে টয়লেট তৈরির কাজে ব্যয় করেন। চিনও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হলে কী হবে, চিনের বাথরুমের অবস্থা ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে বদল আনতে ক্রমাগত প্রচার চালাচ্ছে বেজিং, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর নাম দিয়েছেন টয়লেট রেভোলিউশন।
তবে অসুখের ভয় দেখিয়ে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা এর আগেও প্রচার করেছেন গেটস। ২০০৯-এ ক্যালিফোর্নিয়ায় টেকনোলজি, এনটারটেনমেন্ট, ডিজাইন কনফারেন্সে তিনি মশা ছেড়ে দেন ম্যালেরিয়ার বিপদ বোঝাতে। তারপরেই অবশ্য কামড়ে নাজেহাল শ্রোতাদের আশ্বাস দেন, এই সব মশা থেকে রোগ ছড়ায় না।