ভ্যাটিকান সিটি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) চতুর্থ দিন শান্তির আবেদন জানালেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। তাঁর বার্তা, ‘অস্ত্র নীরব হয়ে যাক। যাঁরা শান্তি কামনা করেন, ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। যাঁরা হিংসার পথ বেছে নেন, ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।’


পোপ আরও বলেছেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য মানবিকতার স্বার্থে উদ্যোগ নেওয়া হোক। সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়া হোক। যে বয়স্ক মানুষরা আশ্রয় চাইছেন, যে মায়েরা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, আমি তাঁদের কথা ভাবছি। তাঁরা আমাদের ভাই-বোন। তাঁদের জন্য মানবিকতার স্বার্থে সাহায্যের দরজা খুলে দেওয়া উচিত। তাঁদের অবশ্যই অন্য দেশগুলিতে আশ্রয় দেওয়া উচিত এবং সাহায্য করা উচিত।’


রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু বিষয়ক বিভাগের (UNHCR) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেনাবাহিনী হামলা চালানোর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবেশী দেশগুলিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বহু মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ। অনেকে ইউক্রেন ছেড়ে মলডোভা, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।


মাত্র চার দিনেই বদলে গেছে ছবি মতো দেশটার চেহারা। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে খারকিভ-সহ পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক শহর। মাটিতে ট্যাঙ্কের গর্জন, আকাশে ফাইটার জেট বা হেলিকপ্টারের চক্কর। যখন-তখন ছুটে আসছে গোলা। রুশ বিমানের ছোড়া গোলা এসে পড়েছে রাজধানী কিভেও। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুতল। ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। এতদিন মূলত ইউক্রেনের সেনা ছাউনি ও পূর্ব সীমান্তবর্তী শহরগুলিকেই নিশানা করে আসছিল রাশিয়া, কিন্তু রবিবার দানিলিভকায় একটি গ্যাস পাইপলাইনে পুতিনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ। 


অন্যদিকে আবার ন্যাটোর লাগাতার চাপের মুখে দেশের সমস্ত পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।