পেনকা নাম গরুটির। তিন সপ্তাহ বাদেই বাচ্চা প্রসব করতে চলেছে সে। তার অপরাধ, বুলগেরিয়ার কোপিলোভত্সি গ্রামের কাছে সে দলছুট হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বহির্ভূত দেশ সার্বিয়ায় চলে যায়। সেখান থেকে অবশ্য তার মালিক ইভান হারালামপিয়েভের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর কাছে ফেরত্ পাঠানো হয় পেনকাকে।
কিন্তু বুলগেরিয়া প্রশাসনের অফিসাররা ই ইউয়ের নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে পেনকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি করেছেন।
ইউরোপীয় কমিশনের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনভুক্ত দেশে গরু বা জন্তু-জানোয়ার নিয়ে ঢোকার সময় ইইউ অনুমোদিত সীমান্ত পর্যবেক্ষণ ফাঁড়িতে কাগজপত্র দেখাতে হবে যে, তারা সুস্থ, স্বাস্থ্যবান। পেনকার ক্ষেত্রে তা হওয়ার প্রশ্নই ছিল না।
এদিকে নিরীহ পেনকাকে রেহাই দিতে অনলাইন পিটিশন শুরু হয়েছে। ওর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হোক, দাবি করা হয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কাছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, পেনকার মালিকের মতো সাধারণ লোকজনের প্রতি ইইউয়ের সরকারি কর্তাদের সহানুভূতির অভাব ফুটে উঠেছে পেনকার প্রতি ওদের আচরণে। এ ঘটনায় উনি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন।