কাঠমান্ডু: নেপালে চলতি রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই চাপ বাড়াচ্ছে রাজতন্ত্র-পন্থীরা। ফের পথে নেমে বিক্ষোভ রাজতন্ত্র-পন্থীদের। নেপালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের মর্যাদা পুণর্বহালের দাবিতে শুক্রবার কাঠমাণ্ডুতে মিছিল রাজতন্ত্র-পন্থীদের।

রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এই মিছিলের আয়োজন করেছিল। শুক্রবারের এই মিছিলে সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। কাঠমাণ্ডুর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিরাচরিত বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশ নেন রাজতন্ত্র-পন্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা চলতি রাজনৈতিক পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান। রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান সময়ে মানুষের প্রয়োজন অনুসারে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। তাঁদের আরও দাবি, বর্তমান ইস্যুগুলির সমাধান রাজতন্ত্রের মাধ্যমেই হতে পারে।  গোম্বা ঘালে নামে এক প্রতিবাদকারী বলেছেন, দেশের কমিউনিস্ট সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দেশের আশা পূরণ করতে পারেনি সরকার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকা সত্ত্বেও সরকার ভালোভাবে কাজ করতে পারেনি। এজন্যই দেশে চলতি রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। দেশকে রক্ষা করতে আমরা হিন্দু-রাষ্ট্র ও রাজতন্ত্রের পুণর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।

গত ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়ার পর নেপালে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এভাবে সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওযার প্রতিবাদ এসেছে খোদ শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে। এই দল কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে এবং দলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়েছে।

যদিও তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ওলি এপ্রিল-মে সামে নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যেই রাজতন্ত্রপন্থীরা তাঁদের দাবি নিয়ে সামনে এলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে কাঠমাণ্ডুতে রাজতন্ত্র-পন্থীদের বিক্ষোভ বাড়ছে। গত ৫ ডিসেম্বরও গত শুক্রবারের মতোই রাজতন্ত্র-পন্থীদের বড়সড় মিছিল বেরিয়েছিল।

২০১৫-তে গৃহীত সংবিধানে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাজতন্ত্রপন্থীরা এই বৈশিষ্ঠ্য বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

রুদ্র প্রসাদ ধাকাল নামে এক প্রতিবাদকারী বলেছেন, আমরা চাই নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা হোক, যেখানে নিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে থাকবে রাজতন্ত্র।