ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে গ্রেফতার জাকিউর রহমান লকভি। ২০০৮ এর ২৬ আগস্টের মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম চক্রী সে। সেই ভয়াবহ সন্ত্রাসের মূল মাস্টারমাইন্ড হাফিজ মহম্মদ সঈদের সাঙ্গপাঙ্গদের অন্যতম সে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থ ঢালার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় লকভিকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সন্ত্রাসবাদ দমন শাখা।  তবে কোথায় তাকে পাকড়াও করা হয়েছে, সেটা জানায়নি তারা। ভারতের  অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বই মহানগরীকে রক্তাক্ত করে তোলা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা বাহিনীর অপারেশন সংক্রান্ত কমান্ডার লকভি ২০১৫ থেকে জামিনে মুক্ত ছিল। এবার তাকে গরাদের পিছনে ঢুকতে হল।


সন্ত্রাসবাদ দমন শাখা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, পঞাবে তারা গোয়েন্দা সূত্র মারফত্ চালানো অভিযানে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্করের নেতা জাকিউর রহমান লকভিকে গ্রেফতাক করেছে। ৬১ বছর বয়সি লকভিকে লাহোরের থানায় সন্ত্রাস দমন শাখার দায়ের করা জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদতের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

সন্ত্রাস দমন শাখা বলেছে, লকভি সন্ত্রাসবাদে পয়সা ঢালার জন্য ডিসপেনসারি চালানোয়, সেখান থেকে জোগাড় হওয়া অর্থ ব্য়বহারে অভিযুক্ত। এমনকী সে  ব্যক্তিগত প্রয়োজন, খরচ মেটাতেও সেই অর্থ ব্যবহার করায় অভিযুক্ত।

সন্ত্রাস দমন শাখা জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন লস্করের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি লকভি রাষ্ট্রপুঞ্জের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্য়ক্তিও বটে। লাহোরে সন্ত্রাস দমন আদালতে তার বিচার হবে বলে জানিয়েছে সন্ত্রাস দমন শাখা।

২০০৮ সালের সেই বেনজির সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে আরব সাগরে পেরিয়ে বোটে মুম্বই ঢুকেছিল  লস্করের পাঠানো ১০ জন ঘাতকের বাহিনী। সেদিন সন্ধ্যায় একইসঙ্গে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তারা একাধিক জায়গায় হামলা চালায়। দেড়শোর বেশি মানুষ নিহত হয়। জখম হয় একাধিক লোক।  তাদের সামলাতে কয়েকদিন ধরে চলে অভিযান। বাকি ৯ জন নিহত হয়। জীবিত ধরা পড়ে একজনই। আজমল কসাব। বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয় এদেশে।