কলম্বো: জ্বলছে শ্রীলঙ্কা (sri lanka)। শনিবারের পর রবিবার।
আগামী বুধবার ইস্তফা (resignation) দেবেন প্রেসিডেন্ট (president) গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya rajapakshe)। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, যত ক্ষণ পর্যন্ত তিনি ইস্তফা না দিচ্ছেন তত ক্ষণ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছাড়বেন না তাঁরা। একই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী (prime minister) রনিল উইক্রমসিংহের জন্যও। এর মধ্যেই পদত্য়াগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
কী হাল শ্রীলঙ্কায়?
গত কাল প্রধানমন্ত্রী রনিল উইক্রমসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবনে (private residence) আগুন (fire) লাগানোর ঘটনায় আজ তিন জনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে পুলিশ। আরও গ্রেফতারির তোড়জোড় চলছে বলে খবর। শনিবার বিক্ষোভের আগুন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। প্রেসিডেন্ট প্যালেসের দখল নেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার জানা গিয়েছে, জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে জখম (injured) অন্তত ১০৩। রাজধানী কলম্বোর দিকে দিকে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবি, লণ্ডভণ্ড প্রেসিডেন্টের ভবন। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের দাবি স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত দুজনের সরকারি বাসভবন তাঁরা ছাড়বেন না।
কোথায় প্রেসিডেন্ট?
সূত্রের খবর, দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। কারও ধারণা, তিনি সমুদ্রপথে দেশ ছেড়েছেন। কারও মতে, বিমানে দেশান্তরী হয়েছেন। তবে অনেকে বলছেন সেনা হেড কোয়ার্টারে সরানো হয়েছে তাঁকে। মোটের উপর এই মুহূর্তে গোপন আশ্রয়ে রয়েছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে তাঁর দফতর সূত্রে খবর, সরকারি কাজ বন্ধ নেই। জ্বালানির অভাবে জ্বলতে থাকা শ্রীলঙ্কায় ৩ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন এলপি গ্যাস পৌঁছতেই সরকারি আধিকারিকদের সেটির সুষ্ঠু বিলিব্য়বস্থার নির্দেশ দিয়েছেন গোতাবায়া। অবশ্য গোপন আস্তানা থেকেই চলছে কাজ। কিন্তু জ্বালানি, খাদ্যশস্য থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ধুঁকতে দ্বীপরাষ্ট্র এখন আশু সুরাহার পথ খুঁজছে। সেই পথ কবে মিলবে? উত্তর নেই রাজনৈতিক শিবিরের কাছে। শুধু ক্ষোভ বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে চড়ছে বিশৃঙ্খলার পারা।