লাহৌর: পাক মডেল কান্দিল বালোচ হত্যা-মামলায় নয়া মোড়।


ঘটনায় প্রকাশ, এই মামলার মূল অভিযুক্ত তথা নিহতের ভাইকে চাইলেও ক্ষমা করতে পারবে না কান্দিলের পরিবার। কারণ, এই হাই-প্রোফাইল মামলায় বাদী পক্ষ হিসেবে অংশ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন। আর সেখানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এমন একটি ধারা আরোপ করা হয়েছে যাতে ক্ষমা করার কোনও অবকাশ নেই।

গত ১৫ তারিখ ২৬-বছরের এই মডেলকে মুলতানে হত্যা করা হয়। খুনের কথা স্বীকার করেন নিহতের ভাই ওয়াসিম। তার দাবি, পরিবারের সম্মান রক্ষা করতেই সে কান্দিলকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে পরে গলা টিপে খুন করেছে।

ক্যাপিটাল পুলিশ অফিসার আজহার আক্রম জানান, অতীতে এধরনের বহু সম্মানরক্ষার স্বার্থে হত্যা-মামলায় দেখা গিয়েছে, পরিবার আততায়ীকে মার্জনা করে দিচ্ছে। ফলত, অভিযুক্ত রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই এবার আগাম সতর্ক ছিল পাক প্রশাসন। তাই এফআইআরে ৩১১ ধারা যুক্ত করা হয়।

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পাক প্রশাসন আগাম এই মামলায় বাদী পক্ষ হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সেদেশের দণ্ডবিধির ৩১১ ধারা বা ‘কিসাস’ আরোপ করে। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে কান্দিল পরিবার ওয়াসিম বা অন্য অভিযুক্তদের মার্জনা করলেও, আদালতে তা গ্রাহ্য হবে না। উল্টে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাক সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, প্রথমে কান্দিলের বাবাই তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যা করার অভিযোগ করেছিলেন। পরবর্তীকালে কান্দিলের মা-ও অভিযোগ করেন, তাঁর ২ ছেলেকে এই কাজের জন্য ‘উস্কেছিলেন’ জনৈক মৌলবী মুফতি কাভি।

এরপরই কান্দিলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াসিম ও তার ভাই আসলাম শাহিন। এই মুফতির সঙ্গেই বিভিন্ন ভিডিওয়ে দেখা গিয়েছিল কান্দিলকে। যার জেরে মৌলবীকে প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকী, তাঁকে একটি কমিটি থেকে বহিষ্কারও করা হয়।

কান্দিল হত্যা মামলায় মুফতি ও শাহিনকেও অভিযুক্ত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।