লন্ডন: ব্যক্তিগত আলাপচারিতার সময় চিনের সরকারি প্রতিনিধিদের ‘অভদ্র’ ব্যবহারের সমালোচনা করেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আবার নাইজিরিয়া ও আফগানিস্তানকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ক্যামেরায় ধরা ছিল তাঁদের এই মন্তব্য। যা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ফলে কূটনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে ব্রিটেনের রানি ও প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে।


 

রানির এই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও তুলেছিলেন রাজপ্রাসাদের এক ক্যামেরাম্যান। বাকিংহাম প্যালেসে এক গার্ডেন পার্টিতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কমান্ডার লুসি ডি’ওরসির সঙ্গে চিনের প্রতিনিধিদের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন রানি। তিনি বলেন, গত বছর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ব্রিটেন সফরের সময় চিনের সরকারি আধিকারিকরা সেদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ডের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছিলেন। রানির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন লুসি। তিনি বলেন, চিনের প্রতিনিধিরা একটি বৈঠক ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের ব্যবহার অত্যন্ত অভদ্র।

 

বুধবার রানির এই বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের এক মুখপাত্র অবশ্য বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি, চিনা প্রেসিডেন্টের ওই সফর অত্যন্ত সফল হয়েছিল। চিনও বিতর্ক বাড়াতে চাইছে না। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাংও দাবি করেছেন, জিনপিংয়ের ব্রিটেন সফর সফল হয়েছিল।

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আবার দুর্নীতি বিরোধী একটি আলোচনাসভা নিয়ে রানির সঙ্গে আলোচনার সময় নাইজিরিয়া ও আফগানিস্তানকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছেন। রানি কোনও মন্তব্য না করলেও আর্চবিশপ অফ ক্যান্টারবেরি জাস্টিন ওয়েলবি প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, তিনি একটি তেল সংস্থায় কাজ করার সময় নাইজিরিয়ায় ছিলেন। সেদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদু বুহারি দুর্নীতিগ্রস্ত নন। তিনি বরং দুর্নীতি দূর করার চেষ্টা করছেন।

 

ক্যামেরনের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বুহারি বলেছেন, তিনি হতবাক ও আহত হয়েছেন। আফগানিস্তান সরকারও ক্যামেরনের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে।