মস্কো:স্পুটনিক ভি। রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক মানবশরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অথচ মানবদেহে পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায় এখনও বাকি। সেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে রাশিয়া কী করে এতটা নিশ্চিত হল উঠছে প্রশ্ন।
পুতিনের মেয়ের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। মেয়ে সুস্থ রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কী ভাবে এই টিকা তৈরি হল, মানবদেহের পক্ষে তা কতটা নিরাপদ, কোভি়ড-১৯ রুখতে তা কত শতাংশ সক্রিয় সে বিষয়ে কোনও তথ্য বিজ্ঞানী বা স্বাস্থ্যকর্তা কারও কাছে নেই। রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রকাশিত তথ্যের অভাবের কারণে বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে।


রাশিয়ার এই প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই ব্যবহার করার মতো স্তরে পৌঁছে গিয়েছে তেমন তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-র অধিকর্তা অ্যান্টনি ফাউসি।
রাশিয়ার ব্যবসায়িক সংস্থা সিসটেমা আশা করছে যে, চলতি বছরের শেষ দিকে গামালেয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিনের গণ উত্পাদন শুরু করা যাবে।
রাশিয়ার প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথমে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের উপর দেওয়া এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। তারপর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর। অক্টোবরে সাধারণ মানুষের জন্য মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিটি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হবে। যার মধ্যে করোনা ভাইরাসের এস -অ্যান্টিজেন থাকবে। মানবদেহে প্রবেশের পর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গ়ড়ে তুলবে।
এই ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে যে প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছে, তা দুই দশক ধরে গড়ে তুলেছেন রুশ বিজ্ঞানী। ইবোলা সহ অতীতের বিভিন্ন ভ্যাকসিনের ভিত্তিকে গড়ে তোলা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম।
কিন্তু শেষ পর্বের পরীক্ষার আগে, সুরক্ষা, কার্যকারিতা নিয়ে সুনিশ্চিত না হয়ে এত তাড়াহুড়ো করে কেন প্রতিষেধক তৈরির দাবি করে বসল পুতিন প্রশাসন? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।