ইসলামাবাদ: ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা সন্ত্রাসে ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু, পাল্টা পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হানায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির স্বীকার, জইশ-ই-মহম্মদ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে। সে অসুস্থ বলে জানান কুরেশি।
পুলওয়ামার ঘটনার দায় নিয়েছে জয়েশ। এর উল্লেখ করে ভারত পাকিস্তানের কাছে মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে চাপ দিলেও ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মাসুদ ও জয়েশের ওই ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ দিলে সেগুলি খতিয়ে দেখেই তারা ব্যবস্থা নেবে। অতীতে মাসুদের তাঁদের দেশে থাকার কথাই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। কিন্তু চলতি ঘটনাবলীর জেরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাক বিদেশমন্ত্রী সিএনএনের প্রশ্নের মুখে বলেছেন, আমার কাছে যতদূর খবর, উনি পাকিস্তানেই আছেন। তবে সত্যিই এতটাই অসুস্থ যে, বাড়ি ছেড়ে বেরতে পারছেন না।
পুলওয়ামা হামলায় জয়েশের হাত থাকার বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে পাকিস্তানকে ডসিয়ার দিয়েছে ভারত। তাতে পাকিস্তানে জয়েশের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি, তার নেতাদের উপস্থিতির প্রমাণও আছে। পাক রাজনৈতিক, সামরিক নেতৃত্ব তারপরও তাদের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো বহাল থাকার অভিযোগ অস্বীকার করায় বিস্মিত ভারত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ভারত বারবার রাষ্ট্রপুঞ্জকে দিয়ে আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ানোর চেষ্টা করলেও তাতে ভেটো প্রদান করে বাধা দিচ্ছে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চিন।
কুরেশি আজও বলেন, পাকিস্তানকে ‘আইনের চোখে গ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণ’ দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওদের হাতে পাকিস্তানের আদালতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, এমন তথ্যপ্রমাণ থাকলে পেশ করুক, যাতে আমরা দেশবাসীকে, পাকিস্তানের স্বাধীন বিচারবিভাগকে বিশ্বাস করাতে পারি। আইনি প্রক্রিয়ার মানতে হবে আমাদের।
ধৃত ভারতীয় পাইলটের মুক্তিকে পাকিস্তানের ‘শান্তির স্বার্থে পদক্ষেপ’ বলে ব্যাখ্যা করে কুরেশি বলেন, ‘উত্তেজনা প্রশমনে পাকিস্তানের সদিচ্ছা’ হিসাবেও একে দেখা উচিত।