নয়াদিল্লি: ভারতের যুদ্ধবিমান মিগ ২১ ভেঙে পড়ার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভীমবের জেলার হরান গ্রামে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে ঠিক কেমন আচরণ করা হয়েছিল, তার বিবরণ দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ রাজ্জাক চৌধুরী। তিনি ওই গ্রামের প্রধান। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে চৌধুরী জানিয়েছেন, অভিনন্দনের উপর অত্যাচার চালায় গ্রামবাসীরা। ভারতের এই পাইলটকে ঘিরে ধরে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়া হয়, তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়, তাঁর পায়ে গুলিও করা হয়।

চৌধুরীর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার পরেই আমি গ্রামের অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমি ওই বিমানের পাইলটের প্যারাশুটে ভারতের পতাকা দেখে বুঝতে পারি তিনি ভারতীয়। তাঁকে জীবিত ধরাই আমার উদ্দেশ্য ছিল। ওই পাইলট প্রথমে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ভারতে আছেন কি না। সবাই প্রথমে তাঁকে বলে, তিনি ভারতেই আছেন। সেটা শুনে ওই পাইলট দেশাত্মবোধক স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরেই তাঁকে ঘিরে থাকা লোকজন ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ধ্বনি দেয়। তাদের থামাতে ওই পাইলট আগ্নেয়াস্ত্র বের করে শূন্যে গুলি চালান। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সবাই ওই পাইলটকে তাড়া করে। তিনি ছুটে পালাতে গিয়ে একটি নালায় পড়ে যান। তখন আমার এক ভাইপো তাঁর পায়ে গুলি করে। অন্যরা তাঁকে ধরে ফেলে অস্ত্র কেড়ে নেয়।’

হরান গ্রামের প্রধান আরও জানিয়েছেন, ‘ধরা পড়ার পর ওই পাইলট তাঁর কাছে থাকা নথি নষ্ট করার জন্য মুখে ঢুকিয়ে দেন। তবে গ্রামবাসীরা কিছু কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে সেগুলি পরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। আমাদের ছেলেরা রেগে গিয়ে ওই পাইলটকে মারতে থাকে। কয়েকজন অবশ্য ওদের থামানোর চেষ্টা করছিল। আমিও পাইলটের কোনও ক্ষতি না করতে বলি। পরে সেনাবাহিনী এসে ওই পাইলটকে নিয়ে যায়।’