ইসলামাবাদ: ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে হাওয়া গরম করতে চাইছে পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি সোমবার কাশ্মীর নিয়ে দেশের বিরোধী দলগুলিকে একজোট হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই ইস্যুতে দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে ইদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং একটি শরণার্থী শিবিরেও যান কুরেশি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কুরেশি দাবি করেছেন, ‘পাকিস্তান দেশ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাশ্মীর ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ এবং আগামী ১৪ আগস্ট কাশ্মীরিদের সমর্থনে অভিন্ন আওয়াজ শোনা যাবে’।

৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১৪ আগস্ট ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ এবং ১৫ আগস্ট ‘কালো দিন’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

এই ইস্যুতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একতার আর্জি জানিয়ে কুরেশি  হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,  কোনও রকম রাজনীতি করা হলে বিষয়টি ক্ষতি হবে।  তাঁর দাবি, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মতভেদ রয়েছে..কিন্তু কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও মতভেদ নেই। মতভেদ থাকলে যৌথ প্রস্তাব কোনওভাবেই অনুমোদন করা যেত না।

গত সপ্তাহে পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের তীব্র মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল। বিরোধী পিএমএল-এন সদস্যরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়ম শরিফের গ্রেফতারির নিন্দা করে বলেছিলেন,  ইমরান খান সরকারের এই কাজ এমন একটি সময়ে দেশকে বিভক্ত করার সামিল।

ভারতের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়টি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি না করতে পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে ভারত।

কুরেশি বলেছেন, পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে চিন পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী।