ইসলামাবাদ: রাজনাথ সিংহের প্রথম পরমাণু অস্ত্র না ব্যবহারের নীতি নিয়ে গতকালের ‘হুঁশিয়ারি’র নিন্দা পাকিস্তানের। প্রতিরক্ষামন্ত্রী শুক্রবার পোখরান সফরের মধ্যে ট্যুইট করেন, ভারত সবসময় তার ‘প্রথম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ না করা’র নীতি মেনে চলেছে বটে, কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ীই স্থির হবে। অর্থাত্ দরকার হলে ভারত প্রথম পরমাণু অস্ত্র না ব্যবহারের নীতি ছাড়তে পারে, সেই ইঙ্গিত রয়েছে রাজনাথের কথায়। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি আজ প্রতিক্রিয়া দেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু ও সময় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তা ভারতের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, উগ্র আচরণ তুলে ধরল। ‘পাকিস্তান ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা বহাল রাখবে’ বলেও জানান তিনি। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ‘মূর্খামি’র পরিচয় দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন কুরেশি।
অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৮ সালে পোখরানে দ্বিতীয়বার পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটায় ভারত।
ভারত সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটেই কুরেশির এই কটাক্ষ রাজনাথকে।
গতকালই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে ঘরোয়া আলোচনা হয়। পাকিস্তানের দাবি, এটা তাদের বড় সাফল্য। যদিও সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি, বিবৃতিও আসেনি। ১৫টি দেশের এই শক্তিশালী মঞ্চের বেশিরভাগই সদস্য বৈঠকে জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। ফলে পাকিস্তান ও চিনের কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে শোরগোল সৃষ্টির উদ্দেশ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে।
অবশ্য কুরেশির বক্তব্য, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে প্রমাণ, কাশ্মীরের মানুষ একলা নন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনাও খারিজ করেন কুরেশি।