গুয়াংঝৌ প্রদেশের সাউদার্ন মেট্রোপলিস ডেইলি নামে ওই সংবাদপত্রে রোবট সাংবাদিকের লেখা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বসন্তকালে উৎসবের সময় বহু মানুষের ভ্রমণের প্রবণতা নিয়েই প্রতিবেদন লিখেছে জিয়াও ন্যান।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়ান জিয়াওজুন এই রোবট সাংবাদিক প্রকল্পের প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ সাংবাদিকদের তুলনায় জিয়াও ন্যানের তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতা অনেক বেশি। সে দ্রুতগতিতে খবর লিখতেও পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কিছুদিনের মধ্যেই বুদ্ধিমান রোবটরা সম্পূর্ণভাবে সাংবাদিকদের জায়গা নিয়ে নেবে।’
রোবট সাংবাদিকের লেখা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চিনে সাংবাদিকদের মধ্যে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে জিয়াওজুন সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রোবট সাংবাদিকের মুখোমুখি সাক্ষাৎ নেওয়া, পাল্টা প্রশ্ন করা বা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এমনকী, খবরের বিভিন্ন দিক আলাদা করে বুঝতেও পারে না জিয়াও ন্যান। ফলে এখন সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সাহায্য করাই রোবটের কাজ।